টেকটক বাংলাদেশ ডেস্ক : বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সাথে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের গুরুত্বপূর্ণ সভা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী চীনের সাথে স্মার্ট ইকোনমি এবং ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চান যেখানে দেশের লক্ষ্য রপ্তানি আয়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং উদ্ভাবন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের টেলিকম এবং আইসিটি সেক্টরের প্রসার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী পাঁচ বছর আমাদের পাশে থাকবে।
গত ১০ বছরে চাইনিজ লাইন অফ ক্রেডিট থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬টি প্রকল্পে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করেছি এবং সেখান থেকে আয় করে ইতোমধ্যে ঋণ পরিশোধও করছি।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীন সরকার, চীন এক্সিম ব্যাংক, এবং কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সেখানে আমাদের ৬টি প্রকল্প ইআরডির মাধ্যমে চীন সরকারের কাছে পাঠিয়েছি, যেখানে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মডার্নাইজেশন অফ আরবান অ্যান্ড রুরাল লাইফ প্রকল্প, টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক এক্সপানশন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট চেয়েছি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে পলক এসব কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ৫০ বছরের বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চীন সরকার এবং কোম্পানিগুলো তাদের বিনিয়োগের সর্বোত্তম ক্ষেত্র হিসেবে যাতে নির্বাচন করে তার জন্য বাংলাদেশ-চীন ইনভেস্টমেন্ট সামিট করার ব্যাপারে কথা হয়েছে।
পলক রপ্তানি আয়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা-উদ্ভাবন-উদ্যোক্তা তৈরিতে আইসিটি এবং টেলিকম সেক্টরে চীনের বিনিয়োগ পাবেন বলে আশা করেন। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জ্ঞান ও প্রযুক্তির বিনিময়সহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন একসাথে কাজ করবে।