ডেস্ক রিপোর্ট : এবার ডিপফেইক ব্যবহার করে মিথ্যা ভিডিওর শিকার হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তী তারকা শচিন টেন্ডুলকার। শচিন টেন্ডুলকারের ডিপফেইপ ভিডিওর মাধ্যমে একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের প্রচারণা চালনো হয়েছে।
ভূয়া এ ভিডিও নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই তারকা। শচিন টেন্ডুলকারের ডিপফেইক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শচিন টেন্ডুলকার খুব দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে তিনি অ্যাপটির প্রশংসা করছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় এক্স এ দেয়া এক পোস্টে শচিন বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো ভুয়া ভিডিও। এভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার দেখলে খুব বিরক্ত লাগে।’
ভারতীয় তারকারা প্রায় সময়ই ডিপফেইক ভিডিওর শিকার হয়। তারা বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন। ভুক্তভোগি তারকাদের কাতারে এবার টেন্ডুলকারের নামও যুক্ত হলো। কয়েকমাস আগে অভিনেত্রী রাশমিকা মানদানার একটি ডিপফেইক ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে তিনি এ ধরনের ভিডিও শেয়ার না করার অনুরোধ জানান।
এই ভিডিওতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একজন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান নারীর মুখে মানদানার চেহারা জুড়ে দেয়া হয়। এরপরেই ভারতে প্রযুক্তিটির অপব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনাটিকে ‘খুবই ভীতিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে নারীদেরকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেন রাশমিকা।
আলিয়া ভাট, কাজল এবং ক্যাটরিনা কাইফের মতো ভারতীয় অভিনেত্রীরাও ডিপফেইক ভিডিওর শিকার হয়েছেন। শচিন টেন্ডুলকারের ডিপফেইক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তিনি বলছেন তার মেয়েও নিয়মিত এই গেমিং অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোকে সতর্ক হতে হবে এবং এ ধরনের অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে আরো প্রতিক্রিয়াশীল হতে হবে।’ ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে অবসরে গিয়েছেন। তিনি শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্রান্ডের হয়ে কাজ করছেন।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জুনিয়র মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর টেন্ডুলকারের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘এআইর মাধ্যমে সৃষ্ট ডিপফেইক এবং ভুয়া তথ্য’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
তিনি আরো জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো খুব ডিপফেইক ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে তা নিশ্চিত করতে ভারত খুব শিগগিরই কঠোর নীতিমালা গ্রহন করা হবে।
বিবিসি